বিরল প্রজাতির ক‍্যামেলিয়ন উদ্ধার : দিনমজুর যুবক তুলে দিলেন পুলিশের হাতে

22nd August 2021 8:36 pm বর্ধমান
বিরল প্রজাতির ক‍্যামেলিয়ন উদ্ধার : দিনমজুর যুবক তুলে দিলেন পুলিশের হাতে


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :  বিরল প্রজাতির একটি ক্যামেলিয়ন  উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দিল এক যুবক।পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের ঘটনা ।শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত  ক্যামেলিয়নটি থাকে পুলিশের আশ্রয়েই ।এদিন দুপুরে বনকর্মীরা জামালপুর থানায় এসে ক্যামেলিয়নটিকে  উদ্ধার করে নিয়েযায় ।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,
ক্যামেলিয়নটিকে যে যুবক উদ্ধার করে তার নাম হিরু মালিক।জামালপুর থানার নতুনগ্রামে  তার বাড়ি । পেশায় দিন মজুর হিরু মালিক জানিয়েছেন , শনিবার বিকালে তিনি সাইকেলে  চেপে জামালপুর স্টেশনপাড়া দিয়ে যাচ্ছিলেন । ওই সময়ে তিনি সবুজ রঙা অদ্ভুদ দর্শন প্রাণীটিকে দেখে থমকে দাঁড়িয়ে যান । পরে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে তিনি নিয়েযান নিজের বাড়িতে । এই খবর পেয়ে  জামালপুর থানার ভিলেজ পুলিশ অভিজিৎ দাস ও সিভিক ভলেন্টিয়ার কবীর মল্লিক পৌছে যান হুিরু মালিকের বাড়িতে । প্রাণীটিকে দেখার পরেই তারা বুঝতে পারেন হিরু মালিক যে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গেছে সেটি আসলে বিরল প্রজাতির ক্যামেলিয়ন।ভিলেজ পুলিশ অভিজিৎ এরপরেই  প্রাণীটির বিষয়ে থানায জানালে পুলিশ কর্তারা প্রাণীটিকে থানায় নিয়ে চলে আসতে বলেন । প্রাণীটি নিরাপদ আশ্রয় ফিরে পাবে জানতে পেরে হিরু মালিক শনিবার সন্ধ্যায়  ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারের সঙ্গে থানায় গিয়ে ক্যামেলিয়নটি দিয়ে আসে ।  পুলিশ কর্তারা বনদপ্তরে খবর দিলে রবিবার দুপুরে ক্যামেলিয়নটিকে উদ্ধার করে নিয়েযান বনদপ্তরের কর্মীরা । 

বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ,প্রাণীটি ইন্ডিয়ান ক্যামেলিয়ন ।এই ধরণের প্রাণী এখন সচারচর দেখা যায়না। এই প্রাণীরা দেহের রঙ পরিবর্তন করে । এই প্রাণী গাছের কচি পাতা ও পোকা মাকড় খেয়ে বেঁচে থাকে । ঝোপ জঙ্গল ঘেরা যে জায়গায় পোকা মাকড় থাকে সেই জায়গাতেই মূলত ক্যামেলিয়নের আশ্রয় স্থল ।

 


 
 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।